বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য দেন।
সালাহউদ্দিন আরও বলেন, যারা নির্বাচন বর্জনের চেষ্টা করবে, তারা রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়বে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দাবি পূরণ না হলে, সংস্কার পূর্ণাঙ্গ না হলে, বিচার পূর্ণাঙ্গ না হলে নির্বাচন হবে না বলে যারা মন্তব্য করছেন, এগুলো কেবলই মাঠের বক্তব্য। প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্ট করে তার ভাষণে বলেছেন যেসব সংস্কার প্রস্তাবে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলো পরবর্তী নির্বাচিত জাতীয় সংসদে বাস্তবায়নের সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গত ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দেওয়ার কথা জানান। এরপর নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে নির্বাচন কমিশন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি।
বিএনপি নির্বাচনের সময় ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। আর জামায়াত বলছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে তাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতিতে ভোট না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি করেছে। আর জাতীয় পার্টি বলছে, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
অন্যদিকে, এনসিপি বলছে, গণঅভ্যুত্থান আর জুলাই সনদের সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হলেই কেবল তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। গত ১২ আগস্ট রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘ঘোষণা দিচ্ছি, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। কারণ, নতুন সংস্কার বা নতুন সংবিধান কিছুই আমরা পাইনি। আমার যেই ভাই মারা গেছে, তাকে ফেরত দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে।’