কুয়েতে বিষাক্ত মদ তৈরি ও বিতরণের অভিযোগে সম্প্রতি দ্য টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য বাতিল করেছে কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এ অপরাধ চক্রের মূলহোতা একজন বাংলাদেশি নাগরিক।
দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘BANGLADESHI, NEPALI and INDIAN ARRESTED IN TOXIC LIQUOR CASE’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ‘ডেলোরা বারকাশ দারাজি’ নামে এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দূতাবাসের মতে, নামটি বাংলাদেশি নামের ধরনের সঙ্গে অস্বাভাবিক হওয়ায় তাৎক্ষণিক যাচাই করা হয়। ১৭ আগস্ট দূতাবাসের একজন প্রতিনিধি ওয়াফরা থানায় গিয়ে আহমাদি জেলা তদন্ত অফিসের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন।
কুয়েতি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, গ্রেফতার হওয়া ৬৭ জনের মধ্যে কেউ-ই বাংলাদেশি নাগরিক নয়। মৃত বা আহতদের মধ্যে ও কোনো বাংলাদেশি ছিল না। দূতাবাস প্রতিবেদনের ‘তথ্যগত ভুল এবং পক্ষপাতদুষ্ট কাঠামো’-এর নিন্দা জানিয়েছে এবং সতর্ক করেছে, এমন ভুল তথ্য বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এবং বিদেশিদের প্রতি ঘৃণা বা ভীতি সৃষ্টি করতে পারে।
দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যথাযথ যাচাই ছাড়া একজন বাংলাদেশি নাগরিককে মূলহোতার ভূমিকায় চিহ্নিত করা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।’ কুয়েতের দ্য টাইমস পত্রিকার সম্পাদকও জানিয়েছে, প্রতিবেদনটি প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে দূতাবাসের ব্যাখ্যা এবং কুয়েতি কর্তৃপক্ষের নিশ্চিতকরণের পর স্পষ্ট হয়েছে, বিষাক্ত মদের ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি নাগরিক জড়িত ছিলেন না।
সম্প্রতি কুয়েতে মদপানে ২৩ জনের মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় ৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, ফরেনসিক বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সমন্বয়ে যৌথ দল কাজ করেছে। প্রাথমিক তদন্তে সালমানিয়া এলাকায় নেপালি নাগরিক ভুবন লাল তামাং হাতেনাতে আটক হন। তার কাছ থেকে বিষাক্ত মিথানল উদ্ধার করা হয়। আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়—ভারতীয় নাগরিক বিশাল ধানয়াল চৌহান ও নেপালি নাগরিক নারায়ণ প্রসাদ ভশ্যাল। এই চক্রের মূলহোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ডেলোরা প্রকাশ দরাজীকে।