কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশ হেফাজতে থাকা এক যুবক মারা গেছেন। পুলিশের দাবি, যুবকটি আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) ভোরে চকরিয়া থানার হাজতে যুবকের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
নিহত দুর্জয় চৌধুরী (২৭) চকরিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড হিন্দু পাড়া কমল চৌধুরীর ছেলে। তিনি চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন।
চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিত দাস গণমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে দুর্জয়ের কর্মরত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে থানায় সোপর্দ করেন। ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়ের করা মামলায় তাকে রাত ১১টায় হেফাজতে নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আত্মহত্যার দৃশ্য কিছুটা দূরত্বের কারণে সরাসরি ধারণ না হলেও দুর্জয়ের চলাফেরা ও অন্যান্য কার্যকলাপের দৃশ্য থানার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে। দুর্জয়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গের সামনে দুর্জয়ের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের সামনে উপস্থিত পরিবারের সদস্যরা জানান, দুর্জয় সপ্তাহ খানেক আগে ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিল। পুলিশের কাছে আত্মহত্যার খবর পেয়ে তারা এসেছেন।
দুর্জয়ের চাচাতো ভাই সঞ্জীব বলেন, সকালে ফোন পেয়ে আমরা থানায় গেলে পুলিশ জানায় সে হাজতে সুইসাইড করেছে। সেখানে গিয়ে আমরা তাকে শার্ট পেঁচানো অবস্থায় ফাঁসিতে ঝুলন্ত দেখেছি, হাজতের ভেতরে কি হয়েছে বা পুলিশ তাকে প্রেসার দিয়েছে কি না জানি না।
এদিকে এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, চকরিয়া থানা হাজতে যুবক আত্মহত্যার ঘটনায় মাননীয় পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে এসে সুরতহাল করেছেন। তদন্ত কমিটি নিরুপণ করবে ঘটনাটি কি ছিল এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে আসল ঘটনা।