ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপ-কমিটির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চলতি মাসে বাংলাদেশ সফর করবে। ১৬ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।
এই সফরের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কের মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা। এ ছাড়া, প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বর্তমান অবস্থা ও মানবিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন।
এ ব্যাপারে এক বিবৃতি দিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট জানায়, পাঁচ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিভিন্ন এনজিও ও সুশীল সমাজ, শ্রমিক সংগঠন এবং বাংলাদেশে কর্মরত বহুপাক্ষিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করবে।
তিন দিনব্যাপী এই সফরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরও পরিদর্শন করবেন। সেখানে তারা ২০১৭ সালে মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার মানবিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন।
সফরটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর একটা রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে নির্বাচনী ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে।
এদিকে, একটি নতুন ‘অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু করেছে ইইউ ও বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সফরে আসতে যাওয়া ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেবেন মৌনির সাতুরি (গ্রিনস/ইএফএ, ফ্রান্স)। দলে আরও রয়েছেন ইসাবেল উইসেলার-লিমা (ইপিপি, লুক্সেমবার্গ), আরকাদিউস মুলারচিক (ইসিআর, পোল্যান্ড), উরমাস পায়েত (রিনিউ ইউরোপ, এস্তোনিয়া), এবং ক্যাটারিনা ভিয়েরা (গ্রিনস/ইএফএ, নেদারল্যান্ডস)।