প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচন যদি বৈধ না হয়, তবে তা আয়োজনের কোনো তাত্পর্য থাকে না। সরকারের দায়িত্ব হলো একটি গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার সরকারি সফরে তিনি চ্যানেল নিউজ এশিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘নির্বাচন বৈধ না হলে তার কোনো মানে নেই। আমার লক্ষ্য হলো নিশ্চিত করা যে ভোট প্রক্রিয়া গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ ও সকলের জন্য গ্রহণযোগ্য হয়।’
সাক্ষাৎকারে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। বৈঠকে তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন, যেন হাসিনাকে ভারতে চুপ রাখা হয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘মোদি আমাকে জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ তারা করতে পারেন না। আমরা হাসিনাকে ভারত থেকে আনার জন্য যুদ্ধ করব না। আমি মোদিকে বলেছি, আপনি হাসিনাকে রাখতে পারেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আমাদের বিচার চলবে। কিন্তু হাসিনাকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশে এখনও তাঁর অনেক সমর্থক রয়েছে। বাংলাদেশ অস্থিতিশীল করার জন্য তার সমর্থকরা যা করেছিল, তারা (তার নির্দেশে) আবারও একই কাজ করতে পারে।’
পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চান তিনি। ভারত চাইলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। চাইলে যে কেউ বিনিয়োগ করতে পারে। বিষয়টি হলো সুযোগের ব্যবহার। শুধু চীনকে যে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বিষয়টি এমন নয়।
নির্বাচন শেষে সরকারে থাকতে চান না জানিয়েছে ড. ইউনূসপ্রকাশ করেন, তার নেতৃত্ব একটি স্থায়ী উত্তরাধিকার রেখে যাবে।
তিনি বলেন, ‘১৫ বছরে আমাদের ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। তরুণরা তাদের ভোট এবং আকাঙ্ক্ষা ব্যালট বাক্সে ঢেলে দেবে। আমি আশা করি, একটি ভালো সরকার গঠন হবে, যা গণতান্ত্রিক নীতিমালা অনুসরণ করবে।’