প্রেসিডেন্ট থাকাকালে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে দেশটির পুলিশ।
শুক্রবার গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিক্রমাসিংহে শারীরিক অসুস্থতা ও স্ত্রীর ক্যান্সার চিকিৎসার কথা উল্লেখ করে জামিন আবেদন করেন। তবে কলম্বোর ফোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ২০২২ সালে গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন বিক্রমাসিংহে।
২০২৪ সালের নির্বাচনে তৃতীয় হওয়া সাবেক এ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দায়িত্বে থাকাকালে যুক্তরাজ্যের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ত্রীর সম্মানসূচক অধ্যাপক পদ পাওয়া উদ্যাপনের অংশ হিসেবে সেখানে এক বিশেষ লাঞ্চে অংশ নিতে ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে বিদেশ সফরে গিয়ে তিনি রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার করেছেন।
“সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতে তোলা হয়েছে। তিনি আগামী ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন,” বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন পুলিশের মুখপাত্র ফু বুটলার।
এ বিষয়ে বিক্রমাসিংহের কার্যালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
রিমান্ড আদেশের পরপরই বিক্রমাসিংহে শুক্রবার রাতেই কারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
তার দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) এক নেতা বিক্রমাসিংহেকে নির্দোষ অভিহিত করে বলেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়েছে।
“রনিল বিক্রমাসিংহে কখনোই জনগণের অর্থ বা রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার করেননি। যখন অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়েছিল তখন তিনি সামনে এগিয়ে এসে দেশ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন। আর আজ এই সরকার তার সঙ্গে এমন (বাজে) আচরণ করছে,” কলম্বোতে আদালত প্রাঙ্গনের বাইরে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের বলেন ইউএনপি-র সদস্য শ্রী ওয়ার্নাসিংহে।
শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার মুখপাত্র সাবেক প্রেসিডেন্টের মামলা ও রিমান্ড নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেননি।
শুক্রবার শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতা সাজিদ প্রেমাদাসা কারা হাসপাতালে গিয়ে বিক্রমাসিংহেকে দেখে এসেছেন বলে জানিয়েছে লঙ্কান সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর।