ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ব্যক্তিগত ছবি একটি পর্নসাইটে পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুধু মেলোনিই নন, তার বোন আরিয়ানা মেলোনি এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী এলি শাখলিনের ছবিও সেখানে প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তিনি ঘটনাটিকে “অগ্রহণযোগ্য ও জঘন্য” বলে আখ্যায়িত করেছেন। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্টদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর প্রকাশ করে জানায়, ইতালিজুড়ে এ ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সাইটটি বন্ধ করে দিয়েছেন এটির ম্যানেজাররা। এর কারণ হিসেবে তারা জানান, ব্যবহারকারীরা সাইট সঠিকভাবে ব্যবহার না করায়, তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বন্ধের আগে সাইটটিতে ৭ লাখ সাবস্ক্রাইবার ছিল।
জর্জিয়া মেলোনি ও অন্য নারীদের ছবি বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে এরপর সেগুলো পর্নসাইটে আপ করেছে অভিযুক্তরা। ছবিগুলোতে যৌন উত্তেজক ও অশ্লীল লেখা লিখে সেগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করেছে তারা।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইতালীয় সংবাদমাধ্যম কোরিরে দেলা সেরাকে প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, যা হয়েছে তা নিয়ে আমি ক্ষুব্ধ। যেসব নারীর ছবি আপ করা হয়েছে এবং যারা এতে অপমানিত ও লাঞ্চিত হয়েছেন তাদের প্রতি আমার সহমর্মিতা ও সমর্থন জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এটি দুঃখজনক যে, ২০২৫ সালেও কিছু মানুষ আছে, যারা একজন নারীর সম্মানকে পদদলন এবং তাদের অশ্লীল অপমানকে স্বাভাবিক ও বৈধ বলে মনে করে।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে এই পর্নসাইটি চালু হয়। যদিও এই সময়ের মধ্যে অনেক নারী সাইটটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সাইটটি এবং এর পরিচালনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে।