বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েও শেষ মুহূর্তে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন তামিম ইকবালসহ আরও কয়েকজন প্রার্থী।
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনটি ভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে মোট ১৫ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন বলে নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করেছে।
পরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ ঝারেন তামিম। কঠোর ভাষায় বলেন, ‘আমি একটা জিনিস সবসময় বলেছি বাংলাদেশ ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না, বাংলাদেশের ক্রিকেট ফ্যানরাও এটা ডিজার্ভ করে না। এটাও বলে রাখি, আমি জানি না কতজন স্বীকার করবেন কী করবেন না, কিন্তু এখানে আরও অনেকেই আজকে প্রত্যাহার করতেন। তাদেরকে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন ওয়েতে বুঝানো হয়েছে বা চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে, তাদেরকে কোনোভাবে থামানো হয়েছে।’
‘না হলে আরো অনেকেই আজকে প্রত্যাহার করতেন। তাও ১৫ জন যদি আজকে করে থাকেন, যদি আমি ঠিক হয়ে থাকি, এটা একটা সিগনিফিকেন্ট নাম্বার। অলমোস্ট ফিফটিন পার্সেন্ট আপনার প্রত্যাহার করে নিয়েছে। … আমি এই বিষয়ে পরে ডিটেইলস আপনাদের সঙ্গে কথা বলবো।’
ক্রিকেট আজ হেরে গিয়েছে দাবি করে তামিম বলেন, ‘আপনারা জিততেও পারেন, হারতেও পারেন, কিন্তু আজকে ক্রিকেট শতভাগ হেরে গিয়েছে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। আপনারা বড় গলায় বলেন যে বাংলাদেশে ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে, আগে নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন, পরে ক্রিকেটের ফিক্সিং বন্ধ করার চিন্তাটা করবেন। আমার এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নাই।’
‘আমার কাছে মনে হয় যে এটা স্পষ্টভাবে ক্লিয়ার সবার কাছে, কারা কারা কোন সময়ে, কারা কারা কোন ধরনের ইনভলমেন্ট এখানে রেখেছেন, কী ধরনের হস্তক্ষেপ হয়েছে, নিয়ম ইচ্ছামত, কত সুবিধার মতো যে সময় দরকার ও সময় চেঞ্জ করা হয়েছে। আর এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত, একদম স্পষ্টভাবে ক্লিয়ার।’
‘আমি এর চেয়ে বেশি আর কোনো কথা বলব না, ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে আমি এটা নিয়ে অবশ্যই কথা বলব। আমি আমার স্পিচে এই কথাই বলে শেষ করব যে এই নির্বাচন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য একটা কালো দাগ হয়ে গেল। আর এই ইলেকশনের পার্টের সঙ্গে যারা আছে, আমি নিশ্চিত তারাও বুঝতে পারেন যে নির্বাচন কোন দিক থেকেই এটা একটা নির্বাচন ছিল না।’